logo

আমেরিকার ইয়েস প্রোগ্রাম, মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১ বছর যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার সুযোগ

প্রথম আলো ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর, ২০২৪ এ ১৬:০২

আমেরিকার ইয়েস প্রোগ্রাম, মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১ বছর যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার সুযোগ
ছবি: মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

আমেরিকা বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা সুযোগ দেয় দেশটির পড়াশোনার জন্য। ফেলোশিপ ও বৃত্তির মাধ্যমে এ সুযোগ মেলে। দেশটির কেনেডি-লুগার ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড স্টাডি (ইয়েস) তেমনি একটি প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামে আবেদন চলছে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য আমেরিকায় পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। এ প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশি হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাবে।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের অর্থায়নে ইয়েস প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশের ৮-১১ গ্রেডে ভালো ফল করা হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের এক বছর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের জন্য বৃত্তি প্রদান করা হবে।

কেনেডি-লুগার ইয়েস প্রোগ্রামের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। ইয়েস বৃত্তি একটি মেধাভিত্তিক ও উন্মুক্ত কার্যক্রম। এতে বিনা মূল্যে আবেদন করা যাবে। ২০০৪ সাল থেকে প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি হাইস্কুল শিক্ষার্থী ইয়েস কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে।

আবেদনের যোগ্যতা—

*আবেদনকারীর বয়স ২০২৫ সালের ১৫ আগস্টে ১৫ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে হতে হবে। জন্ম ২০০৮ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০১০ সালে ১৫ আগস্টের মধ্য হতে হবে;

*বর্তমানে বাংলাদেশি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম, দশম বা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি থাকতে হবে;

*বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি নাগরিকেরা আবেদনের জন্য যোগ্য হবে না;

*আবেদনের সময় অবশ্যই ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নম্বরপত্র জমা দিতে হবে।

*বার্ষিক ফলাফলে গড়ে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড (৫০ শতাংশ নম্বর) থাকতে হবে।

*গত তিন শিক্ষাবর্ষের মধ্যে কোনো শিক্ষা বিরতি বা কোনো শ্রেণির পুনরাবৃত্তি থাকলে আবেদনকারীকে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।

*মার্কিন জে-১ ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে (যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা জে-১ ভিসা পাওয়ার অযোগ্য)।

*আবেদনকারী গত পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৯০ দিনের অধিক বসবাস বা ভ্রমণ করে থাকলে তাকে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।

*আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশে বসবাসকারী স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

*কেউ দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী বা বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসরত হলে তার আবেদন বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।

*ইংরেজিতে কথা বলা ও লেখাপড়ার জন্য ইংরেজি ভাষায় পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকতে হবে।

*আবেদনকারী প্রার্থীর মা-বাবার যে কেউ অথবা উভয়ই যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বা যুক্তরাষ্ট্র মিশনের বর্তমান কর্মী হতে পারবেন না।

সুযোগ-সুবিধা—

ইয়েস প্রোগ্রামের ব্যয়ভার অর্থাৎ বিমানভাড়া, মার্কিন ভিসা ফি, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা-খাওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন ও মাসিক ১২৫ ডলারের হাতখরচ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্র বিভাগ বহন করে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া এবং আসার বিমানভাড়া; প্রিডিপার্চার ওরিয়েন্টেশনের খরচ, আমেরিকান হোস্ট ফ্যামিলিতে প্লেসমেন্টের খরচ; মাসিক উপবৃত্তি; স্বাস্থ্যবিমা এবং প্রোগ্রামের আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের খরচ অংশগ্রহণকারীকে বহন করতে হবে না।

প্রতিটি শিক্ষার্থী একটি আমেরিকান হোস্ট ফ্যামিলির সঙ্গে বসবাস করবে। শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো অঙ্গরাজ্যে বসবাস করতে হতে পারে, যার ব্যবস্থা আমেরিকান প্লেসমেন্ট সংস্থা করে থাকে।

প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা শিক্ষার্থীদের পক্ষে অসম্ভব। এটি প্রোগ্রামের নিয়মাবলির বিরুদ্ধে এবং এই নিয়ম ভঙ্গ করলে শিক্ষার্থী একজন ফেডারেল অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। শিক্ষার্থী পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবে না।

 




সোর্স লিংক

শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে আরও পড়ুন

© স্বত্ব © ২০২৪ দৈনিক কেরানীগঞ্জ নিউজ

Development by: M4YOURS IT