logo

খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী নূর আজিম ঢাকায় গ্রেপ্তার

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২ দিন আগে

খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী নূর আজিম ঢাকায় গ্রেপ্তার

পুলিশের তালিকায় থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী নূর আজিমকে গ্রেপ্তার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। গতকাল বুধবার ভোরে ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর অন্যতম সহযোগী রিয়াজুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পর আজিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিদেশি একনলা বন্দুক, চারটি বন্দুকের গুলি, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও ২টি পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

 

কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্ বলেন, ‘সম্প্রতি খুলনা শহরে সন্ত্রাসীরা বেশ উৎপাত শুরু করেছিল। তাদের নিবারণের জন্য কেএমপি অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় অভিযান চালিয়ে খুলনার কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নূর আজিম তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি সন্ত্রাসী গ্রুপ সৃষ্টি করে শহরে মাদক বিক্রিসহ নানা প্রকার অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করতেন।’

আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্ আরও বলেন, ‘গতকাল রাতে নূর আজিমকে খুলনায় আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। নতুন করে খুলনা সদর থানায় আরও একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ছাড়া তাঁর কাছে থাকা অস্ত্র ও তাঁর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের তথ্য উদ্‌ঘাটনের জন্য পরবর্তী কার্যক্রম চলমান।’

২০২৩ সালের শেষের দিকে কেএমপি খুলনা শহরের শীর্ষ তিনটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছিল। ওই গ্রুপগুলো হলো আশিক বাহিনী, নূর আজিম বাহিনী ও গ্রেনেড বাবুর বাহিনী।

২০২৩ সালের শেষের দিকে কেএমপি খুলনা শহরের শীর্ষ তিনটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছিল। ওই গ্রুপগুলো হলো আশিক বাহিনী, নূর আজিম বাহিনী ও গ্রেনেড বাবুর বাহিনী। তিনটি গ্রুপ পুরো খুলনা শহরে মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র বিক্রি ও ভাড়াটে খুনের সঙ্গে জড়িত বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের কার্যক্রম অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে ওই সব সন্ত্রাসী গ্রুপের কার্যক্রম বেড়ে যায়।

২০২৩ সালের কেএমপির বিশেষ শাখার তালিকার তথ্য অনুযায়ী, নূর আজিমের দলে অস্ত্রধারী সদস্যসংখ্যা ১৪। তিনি নগরের টুটপাড়া এলাকার শানু মহুরীর ছেলে। কিশোর গ্যাং সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের দিকে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হন। এর আগে খুলনা থানার একটি অস্ত্র মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আপিলে বের হয়ে আবার হত্যা মামলার আসামি হন। এর পর থেকে পালিয়ে ছিলেন।

সোর্স লিংক

খুলনা নিয়ে আরও পড়ুন

© স্বত্ব © ২০২৪ দৈনিক কেরানীগঞ্জ নিউজ

Development by: M4YOURS IT