কেরানীগঞ্জে নাশকতার মামলায় আসামি আ.লীগ নেতাকর্মীরাও, গ্রেপ্তার ৩১
কালবেলা
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর, ২০২৪ এ ২৪:৩৮
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নাশকতা করার অপরাধে ১৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিণ থানায় দুটি মামলা হয়েছে। গত ২৩ জুলাই মামলার পর এ পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মামুনুর রশিদ।
নাশকতা মামলায় জামায়াত, বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ মার্কার পরাজিত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি করতে তাদের আসামি করা হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার বাস্তা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বারকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের করা নাশকতা মামলার ৪১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তিনি ওই এলাকার একজন প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা। একই অভিযোগ বাস্তা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি শামিম মোল্লার পরিবারের।
৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মমিন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘বড় ভাইকে দেখেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছি। অথচ মামলায় আমার ভাইকে আসামি করে জেলে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের কারণ জানতে গিয়ে জনসমক্ষে পুলিশের মার খেয়েছি, এটা খুবই লজ্জাজনক।’
তা ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলায় আসামি করেছে সরকারদলীয় সংগঠন কৃষক লীগের বাস্তা ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন, বাস্তা ইউনিয়ন ওলামা লীগের সভাপতি মিলন হোসেন, বাস্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ফালু মিয়া, যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন, মো. কামাল ও জিয়াকে। তারা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের সক্রিয় এবং প্রভাবশালী সদস্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার জনি টাওয়ার ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার আমবাগিচায় কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সরকারি কাজে বাধা প্রদান করার অভিযোগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ৮৮ ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ৫২ জনসহ আরও অজ্ঞাতনামা আসামি করে দুটি মামলা করে পুলিশ।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে নাশকতা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহবুদ্দিন কবীর কালবেলাকে বলেন, ‘কার কী রাজনৈতিক পরিচয় এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ১৪০ জনের নামে মামলা হয়েছে। সবার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা তদন্ত করে যাচাই-বাছাই করছি। তদন্ত করে যারা প্রকৃত দোষী ও জড়িত তাদেরই আমরা গ্রেপ্তার করব।’